শেষের সে দিন ভয়ংকর। তার পর? একমুঠো ছাই বা একটু মাটি?
না, এতদিন যা হয়ে এসেছে, সেই ধারণা এ বার বাতিল করার সময় এসে গিয়েছে। প্রিয়জনের মৃত্যুর পরও দিব্যি বেঁচে থাকবে তাঁর সত্ত্বা। ভার্চুয়াল-ই সই, কিন্তু থাকবে তো! আর পুরোনো অ্যালবামের পাতা উল্টে বিবর্ণ হয়ে যাওয়া ছবি দেখে অতীতের সেই আনন্দঘন মুহূর্তগুলো মনে করতে হবে না। বদলে হারানো প্রিয়জনের সঙ্গে দিব্যি গল্পও করতে পারা যাবে অদূর ভবিষ্যতে। কী মনে হচ্ছে? আষাঢ়ে গপ্পো? কল্পবিজ্ঞান আশ্রয়ী কোনো হলিউডি সিনেমার প্রোমো? একেবারেই নয়। '
ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডাব্লিউ ডট ইটারনি ডট এম ই' ওয়েবসাইট খুললেই যাতে প্রয়াত প্রিয়জনের সঙ্গে প্রাণ খুলে চ্যাট-আড্ডা মেরে নেওয়া যায়, তারই ব্যবস্থা করছেন একদল কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ। ছোটবেলার বন্ধু? দুর্ঘটনায় হারিয়েছেন? ইডেনে খেলা পড়লেই মনে পড়ে যায় একসঙ্গে মাঠে যাওয়ার কথা? কোন পরোয়া নেই।
আপনার বন্ধুর স্মৃতিকে শুধু তরতাজা করতেই নয়, তাঁর সঙ্গে একেবারে হাল আমলের নানা বিষয় নিয়েও গল্প করে নিতে পারবেন নতুন ওয়েবসাইটে গিয়ে।
এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বিখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) অন্তারপ্রেনিওরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি দল। তাতে সামিল দুই ভারতীয়ও। পল্লবী চোপড়া ও রজত দোগরা-- দুজনেই বেশ আশাবাদী তাঁদের ওয়েবসাইটের সাফল্য নিয়ে। আশাবাদী হওয়ার কারণও আছে।
এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে বিখ্যাত মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির (এমআইটি) অন্তারপ্রেনিওরশিপ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের একটি দল। তাতে সামিল দুই ভারতীয়ও। পল্লবী চোপড়া ও রজত দোগরা-- দুজনেই বেশ আশাবাদী তাঁদের ওয়েবসাইটের সাফল্য নিয়ে। আশাবাদী হওয়ার কারণও আছে।
এই সাইটের কথা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে গিয়েছে সর্বত্র। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ৪০ হাজার জন দেখে ফেলেছেন এই ওয়েবপেজ। ১৪০০০ এর বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই ই-মেইল পাঠিয়ে নিজেদের নামও রেজিস্ট্রি করেছেন। যাঁরা অভিনব এই পরিকল্পনার জন্ম দিয়েছেন, সেই দলে রয়েছেন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ, ডিজাইনার, প্রযুক্তিবিদ এবং একদল ব্যবসায়ী।
মৃত মানুষের জীবনের সব তথ্য, ছবি ও তাঁর চরিত্রের প্রতিফলন ঘটায় এমন সব কিছু নিয়ে তৈরি করা হবে এক 'ভার্চুয়াল' উপস্থিতি।
সাইবার দুনিয়ায় এর উপস্থিতি সীমাবদ্ধ থাকবে ঠিকই, কিন্তু 'কথা' বলার সময়ে নাকি বোঝাই যাবে না, যাঁর সঙ্গে কথা বলছেন 'তাঁর' বাস্তব অস্তিত্বই নেই! ঠিক ফেসবুকের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে চ্যাট করার মতোই!
এর জন্যে কী করতে হবে আপনাকে? প্রাথমিকভাবে শুধু সংস্থার কাছে একটি ই-মেইল করে সাইবার জগতে 'চিরজীবী' হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেই হল। তা হলেই আপনার থেকে চেয়ে নেওয়া হবে আপনার ছবি, ভালো বা খারাপ লাগা, ই-মেইলের নমুনা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপনার পছন্দের সাইটগুলির তালিকা ইত্যাদি।
অর্থাত্, এমন সব কিছুই যার সাহায্যে তৈরি করা যায় একেবারে আপনার মানসিকতা বহনকারী একটি কাল্পনিক উপস্থিতি।
এর জন্যে কী করতে হবে আপনাকে? প্রাথমিকভাবে শুধু সংস্থার কাছে একটি ই-মেইল করে সাইবার জগতে 'চিরজীবী' হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেই হল। তা হলেই আপনার থেকে চেয়ে নেওয়া হবে আপনার ছবি, ভালো বা খারাপ লাগা, ই-মেইলের নমুনা, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আপনার পছন্দের সাইটগুলির তালিকা ইত্যাদি।
অর্থাত্, এমন সব কিছুই যার সাহায্যে তৈরি করা যায় একেবারে আপনার মানসিকতা বহনকারী একটি কাল্পনিক উপস্থিতি।
যাঁর সঙ্গে কথা বললে আর কেউ বুঝতেই পারবেন না, ইন্টারনেটের অন্য প্রান্তে বসে যিনি দিব্যি চ্যাট চালাচ্ছেন, তিনি মারা গেছেন আগেই! ইন্টারনেটে অমর হওয়ার এই সুযোগ হাতছাড়া না-করতে সাড়া পড়েছে যথেষ্ট।
অপেক্ষা এখন শুধু ওয়েবসাইট লঞ্চ হওয়ার।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন